স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং উন্নয়নের সুবর্ণরেখা 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১। সে হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হবে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১। স্বাধীনতার পর 'তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ আখ্যা দিয়ে যারা অপমান-অপদস্থ করেছিল, তাদের কণ্ঠেই এখন বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা। দারিদ্র্য আর দুর্যোগের বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের পথে। ক্ষুদ্র আয়তনের একটি দেশ হয়েও বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সারা বিশ্বের নিকট প্রাকৃতিক দুর্যোগের নিবিড় সমন্বিত ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবহার এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে তার ভূমিকা, বৃক্ষরোপণ, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকের ইতিবাচক পরিবর্তন প্রভৃতি ক্ষেত্রে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮টি লক্ষ্যের মধ্যে শিক্ষা, শিশু মৃত্যুহার কমানো এবং দারিদ্র্য হ্রাসকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ এখন রয়েছে উন্নয়নের মহাসড়কে। উন্নয়নশীল দেশ থেকে এখন বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখছে উন্নত দেশ হওয়ার। বর্তমান সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিতে কাজ চলছে ১০টি মেগা প্রকল্পের। 

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী


মেগা প্রকল্পগুলো হলো- 
  1. পদ্মা সেতু প্রকল্প, 
  2. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, 
  3. রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, 
  4. মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র, 
  5. মেট্রোরেল প্রকল্প, 
  6. এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ, 
  7. পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ, 
  8. কর্ণফুলী টানেল, 
  9. পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, 
  10. ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প। 
সরকারের গৃহীত এসব পরিকল্পনা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের উন্নয়নের সুবর্ণরেখা হিসেবে বিবেচিত।

(তথ্য সূত্র: মাসিক তথ্য কণিকা-১১০, জুন-২০২১)