Ad Code

Responsive Advertisement

চীনের ঋণ ফাঁদ


চীনের ‘ঋণ ফাঁদ’ বা Debt Trap এখন একটি বহুল প্রচলিত অভিযোগ। যদিও 'ঋণ ফাঁদ’ কৌশলটি বেশ পুরোনো। এর মাধ্যমে ঋণদাতা দেশগুলো তাদের কৌশলগত লক্ষ্য পূরণে ঋণকে ব্যবহার করে থাকে। তারা ঋণের বোঝাকে ব্যবহার করে। সম্পদ অর্জন করতে পারে, যেমন— বন্দর বা রাজনৈতিক প্রভাব। 

বর্তমানে চীন তার বিশ্ব আধিপত্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রধানত মহাসড়ক, রেলপথ, গভীর সমুদ্রবন্দর, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও খনিজ আহরণ প্রকল্প ইত্যাদি ভৌত অবকাঠামোতে সহজ শর্তে বিপুল ঋণ প্রদান করছে। এতে বেশির ভাগ দেশ প্রলুব্ধ হয়ে এমন সব প্রকল্পে এ ঋণের অর্থ বিনিয়োগ করছে, যেগুলোর অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা নড়বড়ে। ফলে প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার পর সে প্রকল্পের আয় থেকে সুদাসলে ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব নয়। ফলে এসব দেশ একের পর এক ঋণের ফাঁদে আষ্টেপৃষ্ঠে আটকা পড়ে ঐ প্রকল্পগুলোর দীর্ঘমেয়াদি কর্তৃত্ব চীনকে অর্পণ করতে বাধ্য হচ্ছে, অথবা চীনকে নিজেদের সার্বভৌমত্ববিরোধী নানা সুবিধা দিতে বাধ্য হচ্ছে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনা ঋণ উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির আড়ালে জাতীয় অর্থনৈতিক কাঠামোয় প্রবেশ করে। এরপর দেশটিকে 'কখনো পরিশোধযোগ্য নয়’ এমন ঋণের দিকে নিয়ে যায়। ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে শ্রীলংকা তাদের দক্ষিণ উপকূলের হাম্বানটোটা বন্দর ৯৯ বছরের লিজে চীনের কাছে হস্তান্তরে বাধ্য হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশ যেমন— নাইজেরিয়া, কেনিয়া, ইথিওপিয়া, জিবুতি, জিম্বাবুয়ে, কিরগিজস্তান, লাওস, মালদ্বীপ, মঙ্গোলিয়া, মন্টিনিগ্রো, পাকিস্তান ও তাজিকিস্তান চীনা ঋণের ফাঁদে পড়েছে ।

Post a Comment

0 Comments

Close Menu