Ad Code

Responsive Advertisement

শতভাগ বিদ্যুতের পথে বাংলাদেশ

শতভাগ বিদ্যুতের পথে বাংলাদেশ জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন, দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিদ্যুৎ মূল চালিকা শক্তি। ২০২২ সালেই বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাইলফলকে পৌছবে।

  • বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ইতিহাস 
  • বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি 
  • পারমানবিক বিদ্যুৎ যুগে বাংলাদেশ
  • শতভাগ বিদ্যুতের পথে বাংলাদেশ 
  • কাঁটাতার পেরিয়ে বিদ্যুতের আগমন
  • বিদ্যুৎখাতের উল্লেখযোগ্য অর্জন

বিদ্যুৎ


বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ইতিহাস 

ব্রিটিশ শাসিত ভারতের তৎকালীন পূর্ববঙ্গ অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার ভাওয়াল পরগনার রাজা পূর্ববঙ্গের প্রথম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী হিসেবে পরিচিত। ঊনবিংশ শতাব্দীতেই তিনি সর্বপ্রথম বিলাত থেকে আমদানি করা জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে রাজবাড়ি আলোকিত করেন। এরপর ১৯০১ সালে ঢাকার নবাব আহসানউল্লাহর বাসভবনে একটি জেনারেটর স্থাপন করা হয়। ৭ ডিসেম্বর ১৯০১ মি. বোল্টন নামে জনৈক ব্রিটিশ নাগরিক আহসান মঞ্জিলে সুইচ টিপে প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহের সূচনা করেন। নবাব আহসানউল্লাহর অর্থানুকূল্যে অক্টাভিয়াস স্টিল নামক কোম্পানি তৎকালীন ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক ও আহসান মঞ্জিলসহ পর্যায়ক্রমে ঢাকার কয়েকটি অভিজাত ভবনকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার আওতায় আনে। ১৯১৯ সালে ‘ডেভকো' নামক ব্রিটিশ কোম্পানির মাধ্যমে ঢাকায় সীমিত আকারে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার প্রথম বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৩৩ সালে একই কোম্পানি ঢাকার পরীবাগে প্রায় ৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ‘ধানমন্ডি পাওয়ার হাউজ' নির্মাণ করে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ বিতরণ শুরু করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বিতরণ ব্যবস্থা মাত্র কয়েকটি কোম্পানির হাতে সীমাবদ্ধ ছিল। বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য ১৯৪৮ সালে গঠিত হয় Electricity Directorate ১৯৫৭ সালে সরকার দেশের সকল বেসরকারি পাওয়ার হাউজ ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন অধিগ্রহণ করে। ১৯৫৯ সালে Water & Power Development Authority (WAPDA) গঠনের পর বিদ্যুৎ খাতে নতুন গতি সঞ্চারিত হয়। ১৯৬০ সালে Electricity Directorate WAPDA'র সাথে একীভূত হয়। ১ মে ১৯৭২ রাষ্ট্রপতির আদেশ বলে (পিও ৫৯) সাবেক WAPDA থেকে পৃথক করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণের সমন্বিত সংস্থা হিসেবে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (BPDB)। পরবর্তীতে BPDB'র বিদ্যুৎ সঞ্চালন, উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থার পূর্ণ বা অংশবিশেষ অন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নিকট যেমন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (BREB), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (DPDC), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (DESCO), পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (PGCB), আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (APSCL), ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (EGCB), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (WZPDCL), নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (NWPGCL), নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (NESCO) এর নিকট হস্তান্তরিত হয় । উল্লিখিত সংস্থা/কোম্পানিসমূহের মধ্যে BREB, DPDC ও DESCO ব্যতীত অন্যান্য কোম্পানিসমূহ BPDB'র আওতাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।


বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি 

১৯৬০ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও খুলনাতে কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিল সিদ্ধিরগঞ্জ ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্বাধীনতার পূর্বে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১০ এর কম। ১৯৭৬ সালে ভেড়ামারা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। তখন দুটি ইউনিট থেকে মোট ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতো। চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে ১৯৮০ সালে আরও একটি প্ল্যান্ট এখানে নির্মাণ করা হয়, যার উৎপাদন ক্ষমতা ৬০ মেগাওয়াট। বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্ব অর্পণ করে ১৯৭৭ সালে এক সরকারি অধ্যাদেশবলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (BREB) গঠিত হয় এবং এটি ১৯৭৮ ‘সালের প্রথম থেকেই বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ ও বিদ্যুৎ বিতরণের কাজ শুরু করে। ১৯৮৭ সালে আশুগঞ্জ ১৩২/২৩০ কেভি স্টেশনের কাজ শেষ হলে কার্যকরভাবে চালু হয় বাংলাদেশের প্রথম ২৩০ কিলোভোল্ট সক্ষমতার হাইভোল্টেজ ট্রান্সমিশন লাইন। বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত ১৫১টি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করে; যার মোট ক্ষমতা ৩০,০২৯ মেগাওয়াট। 


বর্তমানে স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহের জ্বালানি ও প্রযুক্তিভিত্তিক উৎপাদন ক্ষমতার চিত্র :

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ধরণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা স্থাপিত ক্ষমতা (মেগাওয়াট)
সরকারি ৫৩ ১১,৪৮১
যৌথ উদ্যোগ ৪,৪৯৭৫
ভাড়া ভিত্তিক ২০ ১,৬৫৩
আইপিপি ৭৪ ১১,৯২০
মোট ১৫১ ৩০,০২৯


পারমানবিক বিদ্যুৎ যুগে বাংলাদেশ

বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে ১৯৬০ সালে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য ষাটের দশকে পাবনার রূপপুরে জমিও অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু এরপর নানা সীমাবদ্ধতায় কাজ শুরু করার জন্য অপেক্ষা করতে হয় বহু বছর। ৩০ নভেম্বর ২০১৭ পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম ও একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। এর মাধ্যমে ৩২তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব পরমাণু ক্লাবে যুক্ত হয়। রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন ও নির্মাণে কাজ করছে রাশিয়ার ‘রোসাটম’ । ১০ অক্টোবর ২০২১ এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম চুল্লি বা রিএ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২৪ সালের মধ্যে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ম ইউনিটের ১,২০০ মেগাওয়াট ও ২০২৫ সালের মধ্যে হয় ইউনিটের ১,২০০ মেগাওয়াটসহ মোট ২,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হবে।


শতভাগ বিদ্যুতের পথে বাংলাদেশ 

২০০৮ সালে বর্তমান সরকারের রূপকল্পেই ছিল ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা। ২০০৯ সালে বিদ্যুতের উন্নয়নে ৪০ বছর মেয়াদি একটি মহাপরিকল্পনা (পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান) করা হয়। ২০১৬ সালে নেওয়া হয় ক্রাশ প্রোগ্রাম ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত দেশের ৯৯.৮৫% এলাকায় বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ হয়। বাকি রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু দুর্গম এলাকা। এলাকাগুলোতে সোলার প্যানেল ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে বিদ্যুৎ নেওয়া সম্ভব না। সেখানে একটি আলাদা প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন পরিষদ । এরই মধ্যে সেখানকার বেশির ভাগ এলাকায়ও বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। যেসব দুর্গম চরাঞ্চল ও বিচ্ছিন্ন কিছু এলাকায় শুরুতে সৌরবিদ্যুৎ ও জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছানো হয়, সেখানে এখন সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। গ্রিড-অফগ্রিড মিলিয়ে দেশের সব এলাকা এখন শতভাগ বিদ্যুতের আওতায়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সাফল্যের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন।


কাঁটাতার পেরিয়ে বিদ্যুতের আগমন 

একটা সময় ছিল, যখন দেশের এক অঞ্চলের বিদ্যুৎ অন্য অঞ্চলে সরবরাহ করা ছিল দুরূহ ব্যাপার। কিন্তু সময়ের বদলে শুধু নিজ দেশে নয়, পাসপোর্ট-ভিসার বাধা ডিঙিয়ে বিদ্যুৎ এসেছে কাঁটাতারের অপরপাশ থেকেও । বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে প্রতিবেশী দেশ থেকে আন্তঃদেশীয় সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানির উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকার । ৫ অক্টোবর ২০১৩ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয় । বর্তমানে প্রতিদিন ভারতের বহরমপুর হতে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা হয়ে ১,০০০ মেগাওয়াট এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পালটানা থেকে কুমিল্লা হয়ে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। সেই সাথে নেপাল ও ভুটানের সাথে যৌথ মালিকানায় হাইড্রো পাওয়ার প্রকল্প স্থাপন এবং জলবিদ্যুৎ আমদানি করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। 


বিদ্যুৎখাতের উল্লেখযোগ্য অর্জন (২০২০-২১) 

  • উৎপাদন ক্ষমতা : ২৫,২৮৪ মেগাওয়াট 
  • বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা : ১৫১টি 
  • সর্বোচ্চ উৎপাদন : ১৩, ৭৯২ মেগাওয়াট
  • সঞ্চালন লাইন : ১৩,০১১ সার্কিট কিলোমিটার 
  • গ্রিড সাবস্টেশনের ক্ষমতা : ৫৪,২৯৭ এমভিএ 
  • সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী : ৯৯.৮৫%
  • মাথাপিছু উৎপাদন : ৫৬০ কিলোওয়াট ঘণ্টা 
  • গ্রাহক সংখ্যা : ৪.১৮ কোটি 
  • বিদ্যুতায়িত বিতরণ লাইন : ৬,১৭,০০০ কিলোমিটার 
  • বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দের পরিমান : ২৩, ৭৬০ কোটি টাকা 
  • সামগ্রিক সিস্টেম লস : ৮.৪৮%

(আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত)


তথ্যকণিকা 

  • বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ধরন : গ্যাস টারবাইন, রেসিপ্রোকেটিং ইঞ্জিন, স্টিম টারবাইন, কম্বাইন্ড সাইকেল পানিভিত্তিক ও সোলার। 

  • ১৫ নভেম্বর ২০১৮ দেশের ইতিহাসে প্রথমবার সন্দ্বীপে বিদ্যুৎ পৌঁছায় সাবমেরিন ক্যাবলে।  

  • একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র— কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র (কাপ্তাই, রাঙামাটি)। 

  • একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র— পাবনার রূপপুরে। 

  • বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাস বেশি ব্যবহৃত হয়— বিদ্যুৎ উৎপাদনে।

  • বর্তমানে দেশে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু ২টি— বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র; দিনাজপুর এবং পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র; পটুয়াখালী। 

  • দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্র— পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, কলাপাড়া, পটুয়াখালী ।

  • সারাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ৪০০ কেভি, ২৩০ কেভি এবং ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন ও উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া হয় । 

নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

বিদ্যুৎ কেন্দের নাম ক্ষমতা (মেগাওয়াট) মালিকানা
মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ১,২০০ সিপিজিসিবিএল
মৈত্রী সুপার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ১,৩২০ বিআইএফপিসিএল
পটুয়াখালী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ১,৩২০ আরএনপিএল
পায়রা পয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (পটুয়াখালী) ১,৩২০ বিসিপিসিএল
পরিশাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ৩৫০ বিইপিসিএল
চট্টগ্রাম কয়লাভিত্তিক প্রকল্প ১,৩২০ এস আলম গ্রুপ
ঢাকা কয়লাভিত্তিক প্রকল্প ৬৩৫ আইপিপি

Post a Comment

0 Comments

Close Menu