Ad Code

Responsive Advertisement

সাদা পাথর সিলেটের নতুন পর্যটন কেন্দ্র

 পাহাড়-পাথর-জল একসঙ্গে এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেখা পাওয়া যায় শুধু সিলেটের বিছনাকান্দিতে। সেখানে যেন পাথরের সুবিশাল এক 'বিছনা' (শয্যা) পাতানো। এ মৌসুমের প্রথম পাহাড়ি ঢলের সুবাদে ঠিক সে রকম আরেক 'বিছনা' তৈরি হয়েছে। 

সাদা পাথর সিলেট

সিলেটের নতুন পর্যটনকেন্দ্র সাদা পাথর' এলাকায়। ঢলের পানিতে ভেসে আসা পাথর সংরক্ষণ করায় প্রায় ১০ একর জায়গাজুড়ে দৃশ্যমান হয় নতুন এ পাথরের স্তূপ। নতুন জমা হওয়া পাথর যাতে সুরক্ষিত থাকে, সে জন্য ঐ এলাকায় যাতায়াত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন।"সাদা পাথর' বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির পাশের একটি এলাকা সীমান্তের শূন্য রেখার কাছে এর অবস্থান। ২০১৭ সালে পাহাড়ি ঢলে সেখানে পাথর জমা হয়েছিল, কোম্পানিগঞ্জের তৎকালীন UNO মোহাম্মদ আবুল লাইছ সে পাথরগুলো সংরক্ষণ করেছিলেন। তখন থেকে এলাকাটি ‘সাদা পাথর' পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পায়। সিলেটে পাহাড়-নদী পাথরকেন্দ্রিক প্রাকৃতিক পর্যটনকেন্দ্র বিছনাকান্দির পর সাদা পাথর এলাকা পর্যটকদের কাছে নতুন আকর্ষণ হয়ে ওঠে। বিপুলসংখ্যক পর্যটকের যাতায়াতে ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ 'সাদা পাথর পরিবহন' নামে বিশেষ বাস সার্ভিসও চালু হয়। সিলেট অঞ্চলে কোনো পর্যটনকেন্দ্রের পর্যটনবাহী পরিবহন চালুর উদ্যোগ সেটিই ছিল প্রথম। প্রতিদিন সেখানে ১০,০০০ পর্যটকের পদচারণ ঘটে। ধলাই নদের ঘাট থেকে সাদা পাথর এলাকায় চলাচল করে দুই শতাধিক নৌকা। 

আশেপাশের বাসিন্দারা বলেন, 'সাদা পাথর' এলাকায় প্রথম ১৯৯০ সালে পাথর জমা হয়েছিল। সেই বছর সব পাথর লুট হয়েছিল। দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ২০১৭ সালে দ্বিতীয়বারের মতো পাথর জমা হয়। আর এবার তৃতীয় দফায় পাথর জমা হওয়ার পরপরই প্রশাসনের তাৎক্ষণিক নজরদারিতে দৃশ্যমান হয় নতুন পাথর। ধলাই নদের ঘাট থেকে নৌকায় প্রায় ২৫ মিনিটের পথ 'সাদা পাথর'। ধলাই নদের উৎসমুখের একটি অংশ ভারত সীমান্তে। সেখানে কয়েকটি পাহাড়ের ভাজ থেকে নেমে এসেছে একটি ঝরনা। নদের উৎস বলতে এই ঝরনাধারা। পাহাড়ে যখন ভারী বৃষ্টি হয়, তখন ঢল নামে। উজান থেকে ঢলের পানির সাথে ভাটিতে নেমে আসে পাথর।

Post a Comment

0 Comments

Close Menu